টাঙ্গাইল জেলা সমিতি, ইউকে-র নতুন কমিটি ঘোষণা
জুয়েল রানা, বিশেষ প্রতিনিধি: প্রবাসে টাঙ্গাইলবাসীদের ঐক্য, সহযোগিতা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে গঠিত টাঙ্গাইল জেলা সমিতি, ইউকে-র নবনির্বাচিত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৯ জুন, রবিবার রাত ৯টায় লন্ডনে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের এক বিশেষ সভায় নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুল হক (রাঙ্গা), এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুস সবুর তালুকদার (সাবু)। কমিটির অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন— সিনিয়র সহ-সভাপতি: মো. নাজমুল হক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর হুসাইন (আসাদ), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইদুল রহমান তালুকদার (মামুন), সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম। নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত টাঙ্গাইল জেলার প্রবাসীদের মধ্যে ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সহযোগিতার বন্ধন আরও দৃঢ় করতেই তারা কাজ করে যাবেন। পাশাপাশি সমাজসেবামূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রবাসে টাঙ্গাইলের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় সভায় উপস্থিত প্রবাসীরা নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
আন্তর্জাতিক
গোপালপুরে মহিলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মোঃ নুর আলম, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগ শাখার প্রায় ১৭ বছর পর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
২৯ জুন, রবিবার গোপালপুর ২০১ গম্বুজ মসজিদ অডিটোরিয়ামে সকাল ৯ টায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গোপালপুর উপজেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি ফজিলা খাতুন এর সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সেক্রেটারি ২০১ গম্বুজ মসজিদের পরিচালক গোপালপুর এবং ভুঞাপুরের এমপি প্রার্থী মাওলানা হুমায়ুন কবির।
গোপালপুর পৌর শাখার মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি শিল্পী খাতুন এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন টাংগাইল জেলা মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নাসরিন সুলতানা।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন টাঙ্গাইল জেলা মহিলা বিভাগীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাজেদা আক্তার, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য রহিমা বেগম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য সেলিনা আক্তার কাকুলি আরো বক্তব্য পেশ করেন গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ ।এসম্মেলনে গোপালপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা থেকে আগত প্রায় এক হাজার মহিলা জামায়াতের কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
গোপালপুর পৌর শাখার মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি শিল্পী খাতুন এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন টাংগাইল জেলা মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি নাসরিন সুলতানা।অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন টাঙ্গাইল জেলা মহিলা বিভাগীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাজেদা আক্তার, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য রহিমা বেগম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য সেলিনা আক্তার কাকুলি আরো বক্তব্য পেশ করেন গোপালপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মোঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার প্রমুখ ।এসম্মেলনে গোপালপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভা থেকে আগত প্রায় এক হাজার মহিলা জামায়াতের কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
১৩ জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। সেই পটভূমিতে পুলিশের অনেক কর্মকর্তা কর্মস্থলে ফিরে এলেও, অনেকে কয়েকদিন পর থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা এমন ১৩ জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। এছাড়া, পৃথকভাবে যৌতুকবিরোধী মামলায় আরও একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৯ জুন, রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত মোট ১৪টি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেছেন উপসচিব নাসিমুল গনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(গ) অনুসারে পলায়নের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় এবং জনস্বার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে বরখাস্তকৃত কর্মকর্তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ১৪ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন—
১. পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন
-এটিইউ-এর সাবেক পুলিশ সুপার। বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তিনি ১ জানুয়ারি থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
২. পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান
-রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার। বর্তমানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তিনি ১৬ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
৩. পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল
-নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার। বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তিনিও ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
৪. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর হাছান
-নৌ পুলিশের কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে যান। ছুটি শেষে কর্মস্থলে না ফিরে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য আরও ৬০ দিনের ছুটি নেন। এরপরও দেশে ফেরেননি।
৫. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম
-রমনা বিভাগের সাবেক এডিসি। বর্তমানে সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ২৬ জানুয়ারি থেকে অনুপস্থিত।
৬. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শামীম
-ডিএমপির সাবেক এডিসি। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
৭. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম
-ডিএমপির সাবেক এডিসি, বর্তমানে কক্সবাজার এপিবিএনে কর্মরত। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত।
৮. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস
-ডিএমপি ডিবির সাবেক এডিসি, বর্তমানে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
৯. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা
-রাঙ্গামাটি এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত।
১০. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান
-তেজগাঁও বিভাগের সাবেক এডিসি, বর্তমানে সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ২৯ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
১১. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান
-বরিশাল র্যাব-৮-এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
১২. সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান
-রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনুপস্থিত।
১৩. সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল
-কক্সবাজার উখিয়া এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
১৪. সহকারী পুলিশ সুপার আল ইমরান হোসেন
-রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের যৌতুকবিরোধী মামলার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে প্রশাসনে অস্থিরতা ছিল। অনেকেই দেশে ছিলেন না। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে পলায়নের প্রমাণ মেলায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, অনুপস্থিত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলমান।
১. পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন
-এটিইউ-এর সাবেক পুলিশ সুপার। বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তিনি ১ জানুয়ারি থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
২. পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান
-রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার। বর্তমানে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তিনি ১৬ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
৩. পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল
-নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার। বর্তমানে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত। তিনিও ১ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
৪. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর হাছান
-নৌ পুলিশের কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য ১৫ দিনের ছুটি নিয়ে যান। ছুটি শেষে কর্মস্থলে না ফিরে তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য আরও ৬০ দিনের ছুটি নেন। এরপরও দেশে ফেরেননি।
৫. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম
-রমনা বিভাগের সাবেক এডিসি। বর্তমানে সিলেট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ২৬ জানুয়ারি থেকে অনুপস্থিত।
৬. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শামীম
-ডিএমপির সাবেক এডিসি। ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
৭. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়রুল ইসলাম
-ডিএমপির সাবেক এডিসি, বর্তমানে কক্সবাজার এপিবিএনে কর্মরত। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত।
৮. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস
-ডিএমপি ডিবির সাবেক এডিসি, বর্তমানে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
৯. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা
-রাঙ্গামাটি এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে অনুপস্থিত।
১০. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান
-তেজগাঁও বিভাগের সাবেক এডিসি, বর্তমানে সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত। ২৯ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
১১. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান
-বরিশাল র্যাব-৮-এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার। ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
১২. সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান
-রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবনে কর্মরত ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনুপস্থিত।
১৩. সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল
-কক্সবাজার উখিয়া এপিবিএনে কর্মরত ছিলেন। ২৮ জানুয়ারি থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত।
১৪. সহকারী পুলিশ সুপার আল ইমরান হোসেন
-রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের যৌতুকবিরোধী মামলার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জাতীয়
ইসরাইলি আগ্রাসনে ইরানের শহীদদের ঐতিহাসিক শেষ বিদায়ের খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধে ৬০ জন শহীদের শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ইরানির বিশাল উপস্থিতি, যার মধ্যে সামরিক কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীরাও ছিলেন, এ ব্যাপারে বিশ্বের বৃহত্তম গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরান এবং ইরানিদের নাম আবারও বিশ্বের অনেক সংবাদ মাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হয়ে উঠেছে। ইরানিরা আবারও সামনে এসে দেখিয়েছে যে তারা কেবল শুধু যে আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে তাই নয় একইসাথে তাদের শহীদ, মহান সেনা কমান্ডার এবং পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্তের জন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে।

এক বিস্তারিত প্রতিবেদনে, তুর্কি টিআরটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানকে "ঐতিহাসিক" বলে অভিহিত করে এ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে।
চ্যানেল ফ্রান্স-২৪ ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনে শহীদদের শেষ বিদায় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ইরানির বিশাল উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে যোগ করেছে যে জেনারেল সালামি, জেনারেল হাজিজাদেহ এবং জেনারেল বাকেরির মতো সিনিয়র কমান্ডারদের শেষ বিদায় জানানো হয়।
সিএনএন ছিল অন্যান্য মিডিয়া আউটলেটগুলির মধ্যে একটি যারা শহীদদের বিদায় জানাতে ইরানি জনগণের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট করেছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসও এই বিদায় অনুষ্ঠানে "হাজার হাজার" ইরানির উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেছে। রাশিয়ান মিডিয়াও এই অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য মিডিয়াতে এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা গেছে।
এই অনুষ্ঠানটি অনেক আরব মিডিয়ারও শিরোনাম হয়ে উঠেছে।
আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এই অনুষ্ঠানের কিছু অংশ সরাসরি সম্প্রচার করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনে শহীদদের জানাজা অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা অন্যান্য মিডিয়ার মধ্যে আল আরাবিয়াও ছিল।

ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনে, ইসরাইল ইরানের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট কমান্ডার এবং গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে শহীদ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে আইআরজিসির সর্বাধিনায়ক জেনারেল সালামি।
ইসরাইল ইরানের বৈজ্ঞানিক ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের শহীদ করে এই দেশের উপর তার বিজয়ের পথ সুগম করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা শুধু যে কেবল তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়নি একই সাথে বিশেষজ্ঞদের মতে, তারা ইরানের কাছ থেকে আরও মারাত্মক আঘাত পেয়েছে।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেল আবিব এবং হাইফাসহ অধিকৃত অঞ্চলের অনেক অংশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে এবং হাজার হাজার ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীকে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
১২ দিন পর, ইসরাইল অবশেষে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে, কিন্তু এ কদিনে ইরানিদের ঐক্যকে শতগুণ বৃদ্ধি করেছে।


আল জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এই অনুষ্ঠানের কিছু অংশ সরাসরি সম্প্রচার করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনে শহীদদের জানাজা অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করা অন্যান্য মিডিয়ার মধ্যে আল আরাবিয়াও ছিল।

আন্তর্জাতিক
ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে নিহত ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জানাজায় অগণিত মানুষের ঢল
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের সাথে ইসরায়েলের ১২ দিনের সংঘর্ষে নিহত শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের স্মরণে তেহরানে বিশাল রাষ্ট্রীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশ নিতে নেমেছিল মানুষের ঢল ।
ইরানি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবি জানাজা অনুষ্ঠানের ভিডিও সম্প্রচার করে, যেখানে ইরানের লাল, সাদা ও সবুজ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনগুলোর দিকে ছুটে যাওয়া মানুষের আবেগঘন দৃশ্য দেখা যায়। পটভূমিতে বাজানো হচ্ছিল দেশপ্রেমমূলক সঙ্গীত। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানকেও উপস্থিত দেখা যায়, যিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জানাজায় অংশ নেন।
মঞ্চে প্রদর্শিত হয় নিহত কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ছবি, যার মধ্যে ছিলেন ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।
তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপস্থিত অনেকেই আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ছবি বহন করেন এবং আমেরিকা ও ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দেন। গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এতে ৬২৪ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন। তাদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত প্রায় ৬০ জনের জন্য রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠান শুরু করেছে ইরান। নিহত ৬০ জনের মধ্যে সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা রয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলছে, 'শহীদদের সম্মান জানাতে শেষকৃত্যানুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।'
আন্তর্জাতিক
জনসমুদ্রের মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে ১৬ দফা দাবি জানিয়েছে এবং একটি ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে দাবিগুলো তুলে ধরা হয়।
২৮ জুন, শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির মহাসমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
১৬ দফা ঘোষণাপত্রের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচন গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের বিধি ও নির্দেশিকা নীতিগুলোর মধ্যে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, সংসদের উভয় প্রস্তাবিত কক্ষে আনুপাতিক ভোটদান (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন শোষণ নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্রকে রোধ করতে দলটি দ্রুত, মৌলিক সংস্কার, জনপ্রশাসন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য এবং ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিচার, পলাতকদের ফিরিয়ে আনা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।
ঘোষণাপত্রে ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ এবং যেকোনো ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্তরের স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, চাঁদাবাজ, ঋণ খেলাপি এবং অপরাধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে দলটি। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং টেকসই শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনসহ শাসনব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ইসলামী মূল্যবোধ অনুশীলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
ঘুষ, দুর্নীতিসহ সকল প্রকার নাগরিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক কারণে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ করতে হবে। হয়রানিমূলক সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের কোথাও কোনো রকম ‘মব’ সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না। ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের দমনে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী যেকোনো কার্যক্রমে দ্রুততম সময়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে গণবিক্ষোভ পুঞ্জীভূত না হয়।
দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলায় সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামি শক্তির ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা, জনগণের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষা, সর্বত্র শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং কাঙ্ক্ষিত উন্নতি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আলোকিত আদর্শের অনুশীলন করতে হবে।
এক নজরে ১৬ দফা:
১. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিরূপে পুনঃস্থাপন।
২. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।
৩. জুলাই সনদের ঘোষণা ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য।
৪. ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও দলীয় কর্তৃত্ববাদ রোধে মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার।
৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার ও পালাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
৭. পাচার করা অর্থ উদ্ধার ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।
৮. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা।
৯. ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ ও দেশবিরোধী চুক্তির বাতিল।
১০. জাতীয় নির্বাচনের আগে সব পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন।
১১. দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
১২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করা।
১৩. ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
১৪. ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৫. জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা।
১৬. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামের আলোকিত আদর্শ বাস্তবায়নের আহ্বান।
১. সংবিধানে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাষ্ট্র পরিচালনার মূল নীতিরূপে পুনঃস্থাপন।
২. সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন।
৩. জুলাই সনদের ঘোষণা ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে জাতীয় ঐকমত্য।
৪. ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও দলীয় কর্তৃত্ববাদ রোধে মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কার।
৫. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনে ফ্যাসিবাদী প্রভাবমুক্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৬. পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার ও পালাতক অপরাধীদের ফিরিয়ে আনার কূটনৈতিক পদক্ষেপ।
৭. পাচার করা অর্থ উদ্ধার ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ।
৮. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও খুনখারাবি রোধে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা।
৯. ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি প্রকাশ ও দেশবিরোধী চুক্তির বাতিল।
১০. জাতীয় নির্বাচনের আগে সব পর্যায়ে স্থানীয় নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান প্রণয়ন।
১১. দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও সন্ত্রাসীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা।
১২. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ নিশ্চিত করা।
১৩. ঘুষ-দুর্নীতি ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা বন্ধ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
১৪. ইসলাম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ববিরোধী কর্মকাণ্ডে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৫. জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের প্রতিহত করা।
১৬. রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ইসলামের আলোকিত আদর্শ বাস্তবায়নের আহ্বান।
জাতীয়
শ্রীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন
মোঃ সাইফুল্লাহ, মাগুড়া প্রতিনিধি: মাগুরার শ্রীপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ জুন, শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার নবগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসব মূখর পরিবেশে উপজেলার ১নং গয়েশপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে ভোট গণনা শেষে জেলা নেতৃবৃন্দ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে চন্ডিখালি-কালিনগর ৪নং ওয়ার্ডে ১০৮ ভোটের মধ্যে উভয়ে ৫২ ভোট পেয়ে সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ ৫২ ভোট পেয়ে এবং ৫ নং ওয়ার্ডের মোট ভোটার ৯৭ ভোটের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম ৪৬ ভোট পেয়ে ড্র হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সামসুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম হিরো, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ার্দার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব খোন্দকার আব্বাস উদ্দিন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সি রেজাউল করিম, উপজেলা বি এন পি নেতা ইদ্রিস আলীসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
রাজনীতি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশ। সমাবেশ চলাকালে দেশীয় অস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
২৮ জুন, শনিবার শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ চলাকালে ছুরিসহ এক ছিনতাইকারীকে আটক করে সমাবেশে আসা লোকজন। পরে ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা।
এদিন সকাল ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আয়োজনের প্রথম পর্ব শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তারা ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন।
রাজনীতি
মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
ধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণ লেবাননের একাধিক স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এতে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদনে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২৭ জুন, শুক্রবার দক্ষিণ লেবাননের একাধিক স্থানে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে অন্তত এক নারীর মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
লেবাননের জাতীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আলি আল-তাহের, কফার তেবনিত এবং নাবাতিয়েহ আল-ফোকার বনাঞ্চল ও পার্বত্য এলাকায় কনকাশন রকেট হামলা চালিয়েছে। এই রকেট বিস্ফোরণে সৃষ্ট প্রচণ্ড শব্দ দূর-দূরান্ত পর্যন্ত শোনা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম দফা হামলার ১০ মিনিটের মধ্যেই ইসরায়েলি বিমানগুলো একই এলাকায় আবারও বোমাবর্ষণ করে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি পরিচালনা কেন্দ্র জানিয়েছে, নাবাতিয়েহ শহরের একটি আবাসিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় এক নারী নিহত এবং আরও ১১ জন আহত হন। এর আগে দক্ষিণ লেবাননের অন্যান্য এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হন। সব মিলিয়ে আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ জনে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবৃতির মাধ্যমে বলছে, তারা দক্ষিণ লেবাননের মাউন্ট শকিফ-এ হিজবুল্লাহর একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহ ওই ঘাঁটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছিল। হিজবুল্লাহ এখনো এই হামলা বা ইসরায়েলি দাবি সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে লেবাননে আক্রমণ শুরু করে। পরবর্তীতে এ হামলা ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়। সরকারিভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত চার হাজার জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও অন্তত ১৭ হাজার মানুষ আহত এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের নভেম্বর মাসে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে চুক্তি উপেক্ষা করে ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। লেবাননের দাবি, যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল প্রায় ৩ হাজার বার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এতে কমপক্ষে ২০৮ জন নিহত এবং ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের দক্ষিণ লেবানন থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করার কথা ছিল। তবে তেলআবিবের অনীহার কারণে সময়সীমা ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবু এখনো ইসরায়েল পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে সামরিক অবস্থান বজায় রেখেছে।
আন্তর্জাতিক
তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ নীলার
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: রাজনীতিকদের জন্য নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ তৈরির দাবিতে এবার সরব হলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য নীলা ইসরাফিল। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক (স্থগিত) সরোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, অনৈতিক আচরণ ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ তুলে তিনি একটি লিখিত অভিযোগপত্র দিয়েছেন এনসিপির গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই অভিযোগপত্র প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে নীলা ইসরাফিল নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ও অভিজ্ঞতার বর্ণনার মধ্য দিয়ে অভিযোগের পটভূমি তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, রাজনীতি তার কাছে কোনো পদ বা লাভের বিষয় নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও আদর্শিক লড়াই। তিনি জানান, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন এবং শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় এনসিপির নেতাদের মধ্যে সরোয়ার তুষার তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, যা শুরুতে সহানুভূতিশীল মনে হলেও পরে তা ব্যক্তিগত ও যৌন হয়রানির পর্যায়ে পৌঁছায়।
নীলা অভিযোগ করেন, তুষার তাকে প্রায়ই রাতে ফোন করে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলতেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, “রাজনীতি নিয়ে কথা ভালো লাগে না, তোমার কণ্ঠে প্রতিবাদের স্লোগান ভালো লাগে,” “তোমার ঠোঁট সুন্দর,” “একটা সুন্দর ছবি পাঠাও”—এই ধরনের মন্তব্য তাকে বারবার অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলেছে। তিনি জানান, তুষার ভিডিও কলে কথা বলার জন্য চাপ দেন এবং ছবি চেয়ে বিরক্ত করতেন।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে তুষার দাবি করেন, “ডিবি অফিসার আমাকে তোমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আমি বলেছি, তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।” এ ধরনের অসত্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য একজন রাজনৈতিক সহকর্মীর জন্য অপমানজনক এবং তার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার শামিল বলে মনে করেন নীলা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বেশ কয়েকটি ফোনালাপ রেকর্ড করেন, যার একটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ১৬ জুন। এরপর তুষার তাকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি অস্বীকার করতে বলেন। নীলা এরপর আরও দুটি ফোনালাপ রেকর্ড করেন এবং সেগুলো কিছু মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশ করতে সম্মত হন।
নীলা অভিযোগ করেন, দলের ভেতর থেকে এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ৭ জুন ঈদের রাতে তিনি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বিষয়টি জানান এবং তুষারের পাঠানো আপত্তিকর বার্তাগুলো দেখান। পরবর্তীতে ১৫ জুন মহানগর প্রতিনিধিদেরও বিষয়টি জানান। এরপর তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেত্রী সামান্তা শারমীনকে বিষয়টি অবগত করেন।
অভিযোগপত্রে নীলা দাবি করেন, ঘটনার পরে তিনি এনসিপির প্রধান কার্যালয়ে গিয়েও কার্যকর কোনো সাড়া পাননি। ১৯ জুন তাঁকে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিতে বলা হয়, তবে এরপরও দলীয়ভাবে তাঁর প্রতি কোনো সহানুভূতি বা সুরক্ষা প্রদান করা হয়নি।
অভিযোগপত্রে তিনি একটি নিরপেক্ষ, নারীবান্ধব ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নারী কর্মীদের জন্য একটি স্বচ্ছ অভ্যন্তরীণ অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাপনা চালুর দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সত্য বলার পর যে মানসিক নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হবে, তা কল্পনাও করিনি। আমার লিখা ও রেকর্ডিং তুষারের অপরাধের প্রমাণ, মব ট্রায়ালের অংশ নয়।”
নীলা ইসরাফিল অভিযোগ করেছেন, সরোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ব্যক্তিগত গ্রুপে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, কুৎসা ও ডিজিটাল লিঞ্চিং শুরু হয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আপনাদের চেতনা ও নৈতিকতা কি শুধু বক্তব্যে সীমাবদ্ধ, বাস্তবে নয়?”
রাজনীতি
“আমেরিকাকে থাপ্পড় মেরেছে ইরান”—যুদ্ধবিরতির পর খামেনি
ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
২৬ জুন, বৃহস্পতিবার একাধিক মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্য ও বার্তায় তিনি ইরানকে বিজয়ী ঘোষণা করে বলেছেন, “ইরান যুক্তরাষ্ট্রের মুখে জোরালো থাপ্পড় মেরেছে” এবং “জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে।”
সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে খামেনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে প্রবেশ করেছিল, কারণ তারা বুঝেছিল—হস্তক্ষেপ না করলে জায়নবাদী শাসন ব্যবস্থা (ইসরায়েল) সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু তারা কিছুই অর্জন করতে পারেনি।”
তিনি দাবি করেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্র বিজয় অর্জন করেছে এবং আমেরিকার মুখে কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে।”
টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমাদের জাতি দেখিয়ে দিয়েছে, প্রয়োজন হলে ৯ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে একটি মাত্র কণ্ঠস্বর শোনা যাবে। ইরানি জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র বাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছে।”
সংঘাতের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘাঁটিকে যুক্তরাষ্ট্রের “এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্র” বলে উল্লেখ করে খামেনি বলেন, “ইরান সেখানে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি করেছে এবং প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতেও এমন পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”
আয়াতুল্লাহ খামেনি স্পষ্টভাবে জানান, ইরানের অভিধানে ‘আত্মসমর্পণ’ শব্দটির কোনো স্থান নেই। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সবসময় মানবাধিকার, নারী অধিকার, পারমাণবিক সমৃদ্ধি ইত্যাদি নানা অজুহাত সামনে এনে আসলে চায়—ইরান আত্মসমর্পণ করুক।”
তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক সাম্প্রতিক পোস্ট উল্লেখ করে বলেন, “ট্রাম্প দুর্ঘটনাক্রমে সত্যটা বলে দিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্র ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শাসনব্যবস্থাকে মেনে নিতে চায় না।”
খামেনির ভাষ্যমতে, ইরানের আঘাতে জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। “সব প্রচার, সব দাবি সত্ত্বেও জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছিল এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আঘাতে তা ধ্বংসপ্রায় হয়ে গেছে,” বলেন তিনি।
তিনি জাতির উদ্দেশে বলেন, “এই বিজয় শুধু এক দেশের নয়—একটি ঐক্যবদ্ধ, প্রতিরোধী জাতির শক্তির প্রতিফলন।” খামেনি বারবার ইরানি জনগণের ‘ঐক্য’ ও ‘সাহসিকতা’র প্রশংসা করেন।
আন্তর্জাতিক
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতে বেনজীর আহমেদ টিটোর লিফলেট বিতরণ
মাছুদুর রহমান মিলন, বিশেষ প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের এলেঙ্গাতে দেশ গঠনে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এলেঙ্গা পুরো বিএনপি'র উদ্যোগে ২৪ জুন এলেঙ্গা কলেজ মোড় প্রাঙ্গণে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
৩১ দফার লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এলেঙ্গা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেতাকর্মীদের নিয়ে হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম শোভা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (ভিপি রফিক), সিনিয়র সহ-সভাপতি মজনু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বালা, এলেঙ্গা পৌরসভার সভাপতি একাব্বর আলী, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মিনু, সহ-সভাপতি আনোয়ার ফকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মোল্লা, ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব হাসমত আলী রেজা, এলেঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন, সদস্য সচিব এডভোকেট আজগর আলী, যুগ্ন আহবায়ক মামুন মিয়া, এলেঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আলামিন, সাধারণ সম্পাদক জিয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালে ১৩ জুলাই জাতীর প্রয়োজনে এই ৩১ দফা উত্থাপন করেছিলেন।
যেখানে নাগরিকদের অধিকার থেকে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র পরিচালনার কথা উল্লেখ রয়েছে। এই কথাগুলোই আমরা সাধারণ জনতার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করছি। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অব্যাহত থাকবে।
রাজনীতি
রাজনীতিবিদ-আমলা কেউই চান না দুর্নীতি বন্ধ হোক: জ্বালানি উপদেষ্টা
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: গণঅভ্যুত্থান হবার পরও “এ দেশের রাজনীতিবিদ-আমলা কেউই কিন্তু চান না দুর্নীতির অবসান বা বন্ধ হোক” এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২১ জুন, শনিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেট সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ এবং দেশের অর্থনীতিবিদরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, “অপচয়, দুর্নীতি, অদক্ষতা ও স্বজনপ্রীতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। পানির উৎস থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কেবল একজন মন্ত্রীর সুবিধার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় রাস্তা তৈরী করা হয়েছে এবং অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় অর্থও নষ্ট করেছে। এ যেন অপচয়ের কোন পরিসীমা নেই। এ ধরণের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন আর না ঘটে, সেদিকে নজর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত নিয়ে তিনি বলেন, “দেশে গ্যাসের মজুত কমে আসায় এখন আমদানি করা এলএনজির উপর নির্ভরতা বাড়ছে। এতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকিও দিতে হচ্ছে। এ অবস্থার উত্তরণকল্পে সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব।”
তার বক্তেব্যে তিনি আরও বলেন, “ছাদে সৌর প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকেও অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘আমরা আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ না দিয়ে, ব্যবসা সুবিধা না দিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হবে।’’
২১ জুন, শনিবার রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমিতির বাজেট সংক্রান্ত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ এবং দেশের অর্থনীতিবিদরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাত নিয়ে তিনি বলেন, “দেশে গ্যাসের মজুত কমে আসায় এখন আমদানি করা এলএনজির উপর নির্ভরতা বাড়ছে। এতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকিও দিতে হচ্ছে। এ অবস্থার উত্তরণকল্পে সব সরকারি ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব।”
তার বক্তেব্যে তিনি আরও বলেন, “ছাদে সৌর প্যানেল বসিয়ে বেসরকারি খাত থেকেও অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে ফাওজুল কবির বলেন, ‘‘আমরা আত্মীয়স্বজনকে নিয়োগ না দিয়ে, ব্যবসা সুবিধা না দিয়ে এমন একটি দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক উদাহরণ হবে।’’
জাতীয়
শেষ দিনে আবেদন জমা দিল এনসিপি, চেয়েছে ‘শাপলা’ প্রতীক
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: আন্দোলনের মাটি থেকে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছে।
রোববার (২২ জুন) বিকেল চারটায় জমা দেওয়ার শেষ দিনে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিবন্ধনের আবেদন জমা দেয়।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন শাখায় ৪টা ২০ মিনিটে আবেদন জমা দেয়।
আবেদনের আগে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, “নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতিনিধি দল ভিতরে গিয়ে মূল কপি জমা দেবে।” তিনি আরও বলেন, “আবেদনের কাজ শেষ হলে আমরা একটি সংবাদ সম্মেলন করবো। নেতাকর্মীদের শান্ত থাকতে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে বলেছি।”
নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যেসব শর্ত রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
১. সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকা
২. দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি
৩. ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথি
৪. গঠনতন্ত্র, নির্বাচনি ইশতেহার, দলের লোগো ও পতাকার ছবি
৫. কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তালিকা ও ব্যাংক হিসাবের সর্বশেষ বিবরণ
আবেদন জমা দিয়ে আখতার হোসেন বলেন, “আমরা শর্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র দাখিল করেছি।”
আবেদনের সময় এনসিপি দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ দাবি করেছে। আখতার হোসেন বলেন, “আমরা তিনটি প্রতীক উল্লেখ করেছি—শাপলা, কলম ও মোবাইল। তবে আমাদের প্রত্যাশা, শাপলাই বরাদ্দ পাবে।”
নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীকের জয়
হবে এবং এনসিপি সরকার গঠন করবে।” তিনি আরও বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে এনসিপি জয়ী হয়ে সরকার গঠনের সক্ষমতা রাখে।”
নিবন্ধনের পাশাপাশি এনসিপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে। নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “আমরা বি-অপশনে যাচ্ছি না। আর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান ইসিকে পুনঃগঠন করতেই হবে এবং তা হবেই।”
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন নতুন ছয়টি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে। বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫০টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধনের জন্য ৯৩টি দল আবেদন করেছিল।
১. সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকা
২. দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি
৩. ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন থানার কমপক্ষে ২০০ ভোটারের সমর্থনের নথি
৪. গঠনতন্ত্র, নির্বাচনি ইশতেহার, দলের লোগো ও পতাকার ছবি
৫. কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তালিকা ও ব্যাংক হিসাবের সর্বশেষ বিবরণ
রাজনীতি
সেই ‘মন ভুলানো সাজানো গল্প’, ইরানকে ‘নতুন ইরাক’ বানানোর চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল?
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার আবহে শনিবার (২১ জুন) ভোরে যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান দিয়ে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলার মধ্য দিয়ে জোরালো হচ্ছে সেই পুরোনো প্রশ্ন—যুক্তরাষ্ট্র কি আবারও ইরাক যুদ্ধের মতো এক 'ভয়াবহ ভুল' করতে চলেছে? এবার লক্ষ্যবস্তু ইরান।
বিশ্ব রাজনীতিতে ইরাকের ‘ছকে’ ইরান?
গত দুই দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলার পূর্বপ্রস্তুতিতে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ থাকার অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্ররা আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলে। পরে দেখা যায়, সে অভিযোগ মিথ্যা ছিল। আজও ইরাক সেই যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
একই ‘ছক’ কি এবার ইরানের ক্ষেত্রেও বাস্তবায়িত হচ্ছে? বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং পদক্ষেপে সেই আশঙ্কাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জনমনে।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের সুস্পষ্ট অভিযোগ
ইরান ১৯৬৮ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে (NPT) সই করে এবং ১৯৭০ সালে তা অনুমোদন করে। এরপর থেকে দেশটি নিজেকে পারমাণবিক অস্ত্রহীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি গবেষণা ও শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তদ্ব্যতীত, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) নিয়মিত তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে আসছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল এনপিটিতে সই করেনি, আবার মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবেও পরিচিত। তারা আইএইএ (IAEA) কে কোনো পরিদর্শনের সুযোগ দেয়নি। সেই ইসরায়েলই ২০২৫ সালে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে উত্তেজনার সূচনা করে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সরাসরি অংশগ্রহণ করে।
ইরানের পরমাণু সক্ষমতা: বিভ্রান্তিকর তথ্যপুঞ্জ
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ দাবি করেছে, ইরান ১৫ দিনের মধ্যেই পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, এর জন্য ইরানের কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। এমন অসংগত দাবির প্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে চায় না। একই কথা বলেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই বক্তব্য ‘ভুল’ বলে উড়িয়ে দেন।
বিশ্ব মানচিত্রে অতীতের অভিজ্ঞতা: ইরাক ধ্বংস, দায় স্বীকার
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু করে। সেসময় দাবি করা হয়েছিল, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। কিন্তু সেই অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ইরাকের হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা ও রাজধানী বাগদাদ ধ্বংস হয়, লাখো মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়। ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ হলেও, এর রেশ এখনো চলছে। দ্য গার্ডিয়ান-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ‘ভুল’ করেছিল। এবার কি ইরানেও তাই ঘটবে?
মূলত পার্থক্য কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানকে ‘নতুন ইরাক’ ভাবা বড় ভুল হবে। ইরান কেবল রাজনৈতিকভাবে নয়, সামরিক ও কূটনৈতিকভাবেও অনেক বেশি সংগঠিত ও প্রস্তুত একটি রাষ্ট্র। ২০১৫ সালে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখে। সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বের হয়ে আসে এবং এরপর থেকে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় দফায় এই চাপের মাত্রা আরও বাড়ে। আলোচনার পঞ্চম দফার মধ্যেই ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়। এরপর ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলা চালায়।
দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের আশঙ্কা
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা শুধু পারমাণবিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সূচনাও হতে পারে। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি এখনো বিদ্যমান, এমনকি মাঝেমধ্যে সেখানে হামলার খবরও আসে। একই রকম পরিস্থিতি যদি ইরানে শুরু হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য আরও একটি দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখোমুখি হবে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ বলছে, ইরানিদের বড় অংশ সরকারবিরোধী হলেও তারা বিদেশি হামলার বিরোধী এবং এ ধরনের আগ্রাসনে জাতীয় ঐক্য ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। ফলত যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের জন্য এই যুদ্ধ সহজ হবে না।
গত দুই দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলার পূর্বপ্রস্তুতিতে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ থাকার অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্ররা আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলে। পরে দেখা যায়, সে অভিযোগ মিথ্যা ছিল। আজও ইরাক সেই যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
ইরান ১৯৬৮ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে (NPT) সই করে এবং ১৯৭০ সালে তা অনুমোদন করে। এরপর থেকে দেশটি নিজেকে পারমাণবিক অস্ত্রহীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি গবেষণা ও শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তদ্ব্যতীত, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) নিয়মিত তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে আসছে।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ দাবি করেছে, ইরান ১৫ দিনের মধ্যেই পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, এর জন্য ইরানের কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। এমন অসংগত দাবির প্রেক্ষিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্টভাবে বলেছেন, ইরান পরমাণু বোমা তৈরি করতে চায় না। একই কথা বলেছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড, যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই বক্তব্য ‘ভুল’ বলে উড়িয়ে দেন।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বে ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু করে। সেসময় দাবি করা হয়েছিল, ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। কিন্তু সেই অস্ত্র পাওয়া যায়নি। ইরাকের হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা ও রাজধানী বাগদাদ ধ্বংস হয়, লাখো মানুষ নিহত ও বাস্তুচ্যুত হয়। ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ শেষ হলেও, এর রেশ এখনো চলছে। দ্য গার্ডিয়ান-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে ‘ভুল’ করেছিল। এবার কি ইরানেও তাই ঘটবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরানকে ‘নতুন ইরাক’ ভাবা বড় ভুল হবে। ইরান কেবল রাজনৈতিকভাবে নয়, সামরিক ও কূটনৈতিকভাবেও অনেক বেশি সংগঠিত ও প্রস্তুত একটি রাষ্ট্র। ২০১৫ সালে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত রাখে। সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বের হয়ে আসে এবং এরপর থেকে ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে থাকে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় দফায় এই চাপের মাত্রা আরও বাড়ে। আলোচনার পঞ্চম দফার মধ্যেই ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়। এরপর ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে এবং তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হামলা চালায়।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, ইরানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা শুধু পারমাণবিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সূচনাও হতে পারে। ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি এখনো বিদ্যমান, এমনকি মাঝেমধ্যে সেখানে হামলার খবরও আসে। একই রকম পরিস্থিতি যদি ইরানে শুরু হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য আরও একটি দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মুখোমুখি হবে।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আগেই টের পায় ইরান, গোপন স্থানে সরানো হয় ইউরেনিয়াম
মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান আকন্দ, তেহরান, ইরান: গতকাল শনিবার মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। লক্ষ্যবস্তু ছিল ফোরডো, নাতাঞ্জ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক কেন্দ্র। এই হামলা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের জন্ম দিলেও ইরান সরকার জানিয়েছে, এসব অঞ্চলের সাধারণ জনগণের জন্য তেমন কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি।
ইরান সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “নাতাঞ্জ, ইসফাহান এবং ফোরডোসহ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। জনগণ আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে পারে।” তিনি নিশ্চিত করেন যে, হামলার পর এসব এলাকায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, মার্কিন হামলার আগে ইরানের বেশিরভাগ উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম গোপন ও নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপটি শনিবার ভোরেই সম্পন্ন হয় এবং এই কৌশলগত প্রস্তুতি ইরানের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “ফোরডো পারমাণবিক স্থাপনায় কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে, যাতে সম্ভাব্য মানবিক ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পায়।”
অন্যদিকে, মার্কিন এই আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর ১০ নম্বর অনুচ্ছেদের আওতায় ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার আইনি অধিকার রাখে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক মহল।#
আন্তর্জাতিক
ইরান-ইসরাইল সংঘাতে আধুনিক অস্ত্রের লড়াই: সিজ্জিল থেকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাতে আধুনিক প্রযুক্তির ভয়ংকর সব অস্ত্রের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় ব্যবহৃত এসব অস্ত্র নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ। বিশেষত ইরানের ব্যালিস্টিক, ক্রুজ ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা এবং সেগুলোর মাধ্যমে ইসরাইলের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম' ও 'ডেভিডস স্লিং' ভেদ করে সফল আঘাত হানার সক্ষমতা এখন আলোচনার কেন্দ্রে।
২১ জুন, শনিবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইরান তার সামরিক কৌশলে অন্যতম প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার গতি শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি। এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রথাগত র্যাডারে ধরা পড়লেও প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব। কিছু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত থাকে হাইপারসোনিক গ্লাইড ভেহিকল (এইচজিভি), যা দ্রুত দিক পরিবর্তনে সক্ষম, ফলে লক্ষ্যভ্রষ্ট করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক গ্যাটোপুলোস জানান, “ব্যালিস্টিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি প্রতিক্রিয়ায় ইরান হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে এগিয়ে গেছে, যা এখন তাদের আক্রমণের সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।”
ইরান জানিয়েছে, তারা 'অপারেশন ট্রু প্রমিজ–থ্রি'-এর আওতায় সিজ্জিল নামের দূরপাল্লার অত্যাধুনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। কঠিন জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত সময়ে উৎক্ষেপণ করা যায় এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সক্ষমতাও রয়েছে এতে। সিজ্জিলের পাল্লা প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার এবং এটি ওয়ারহেডসহ লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে।
ইরানের আরেক কার্যকর অস্ত্র হোভেইজেহ নামের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিচু উচ্চতায় উড়তে পারে এবং জিপিএস বা অন্যান্য গাইডেড প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে ইরান এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করেছে বলে দাবি করছে।
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় ও বৈচিত্র্যময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভান্ডার রয়েছে ইরানের। তাদের কাছে রয়েছে প্রায় ৩,০০০ বিভিন্ন শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র— স্বল্প, মধ্য ও দূরপাল্লার, যেগুলো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কৌশলগত সাফল্য এনে দিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই উন্নত অস্ত্রগুলোই ইসরাইলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা—আয়রন ডোম এবং ডেভিডস স্লিং—এর সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করছে। বিশেষ করে হাইপারসনিক ও নিচু উড়ন্ত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে এসব ব্যবস্থার কার্যকারিতা এখন প্রশ্নের মুখে।
আন্তর্জাতিক
ইরানে সরকার পরিবর্তনের চিন্তা করা অকল্পনীয়, প্রতিবাদে থাকবে রাশিয়া
টাঙ্গাইল দর্পণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০ জুন, শুক্রবার সকালে স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বললেন, “ইরানে সরকার পরিবর্তনের চিন্তা করা পর্যন্ত অকল্পনীয়। শুধু এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করাও অগ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত। যদি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করে, তবে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে খুবই নেতিবাচক। আমরা দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করবো। এটি ইরানের ভেতরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে ও দেশটির ভেতরে চরমপন্থার উত্থান ঘটাবে।”
তিনি আরও বলেন, যারা খামেনিকে হত্যার কথা বলছে তাদের এটা মাথায় রাখা উচিত- মধ্যপ্রাচ্যে এটি কী ধরনের পরিণতি ডেকে আনতে পারে সে বিষয়ে তাদের ধারণা আছে?
এই মন্তব্যগুলো রাশিয়ার পক্ষে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত সম্পর্কে এখন পর্যন্ত দেওয়া সবচেয়ে শক্ত প্রতিক্রিয়া বলেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর এই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, যেখানে ইরান রাশিয়াকে শাহেদ ড্রোন সরবরাহ করেছে।
এদিকে ইরানে হামলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই সপ্তাহ সময় নেবেন বলে জানিয়েছেন।
১৯ জুন, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
লেভিট জানান, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হবে কি না-এমন প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে নিকট ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, যা হতে পারে আবার নাও হতে পারে। এই ভিত্তিতে আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবো, আমি যাবো (যুদ্ধে জড়ানো) কি না।
এর আগে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১৮ জুন) তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোপনে ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন, তবে এখনো চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করেননি। এমনটিই জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের হামলা শুরুর পরের দিন ১৪ জুন নিহত ও আহতদের একটি পরিসংখ্যান জানিয়েছিল ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছিল, তেহরান ও আক্রান্ত অন্যান্য শহরে ২২৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ২৭৭ জন। যদিও ইরান সংঘাতের ঘটনায় নিয়মিত মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। সোমবার প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদে মৃতের সংখ্যা ২২৪ জন এবং আহতের সংখ্যা ১২৭৭ জন বলে জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে: রিজভী
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: ২০ জুন, শুক্রবার দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় পাবনার চাটমোহরের অসুস্থ শ্রমিক দল নেতা আবু তাহেরকে (তাহের ঠাকুর) দেখতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বললেন, “ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।”
তিনি বলেন, “এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। সৌধ নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। ১৬ বছরের তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতাকর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ংকর। আজকে নির্ভয়ে আমরা কথা বলতে পারছি।
“আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে সে আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।”
“১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে, লুট করে দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেস্তের মতো সুখে আছে। শেখ হাসিনা মিডিয়া কন্ট্রোল করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে। নির্যাতনের শিকার হয়েছি তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি” ।
তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি (তাহের ঠাকুর) দলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছেন। জেলা বিএনপি যেন সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখে সেজন্য বলেছি। আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।
রাজনীতি
ইরানে হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নিলেন ট্রাম্প: হোয়াইট হাউস
টাঙ্গাইল দর্পণ অনলাইন ডেস্ক: ইরান-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশগ্রহণ করবে কি না, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহের নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। তিনি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেননি।
প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট প্রেসিডেন্টের বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য আলোচনার এখনও একটি সুযোগ সামনে রয়েছে। তাই আমি পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।’
ক্যারোলিন লেভিট আরও বলেন, ‘এমনকি আলোচনার সম্ভাবনা না থাকলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জনগণকে বলেছেন, তাঁর ওপর আস্থা রাখতে। তিনি তাঁর প্রথম মেয়াদে ‘‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
ই/রান-ইস/রায়েল চলমান সংঘাতের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত কৌশলগত অস্পষ্টতা বজায় রেখেই চলেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং হোয়াইট হাউস প্রকাশ্যে এখনও কোনো স্পষ্ট বার্তা না দিলেও একাধিকবার বলা হয়েছে ইরান ‘পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে, আগে কখনো এতটা নিশ্চিত অবস্থানে ছিল না।’
ব্রিফিংয়ে ক্যারোলিন লেভিটকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই কি ট্রাম্প ইরানে হামলা চালাতে পারেন? এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান ক্যারোলিন লেভিট। একইভাবে ইরানি কর্মকর্তাদের হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে কি না, তিনি এ বিষয়েও কোন মন্তব্য করেননি।
জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড চলতি বছরের শুরুতে কংগ্রেসে এক প্রতিবেদনে জানান, ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই। তবে ট্রাম্প তাঁর এই প্রতিবেদনের তথ্য প্রত্যাখ্যান করেন।
প্রেস সেক্রেটারি লেভিট জানান, প্রেসিডেন্টের ‘প্রধান অগ্রাধিকার’ হলো—ইরান যেন কোন ভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে। তবে তিনি উল্লেখ করেননি ট্রাম্প কেন মনে করছেন ইরান পারমানবিক অস্ত্র তৈরী করছে, যেহেতু এখনো আলোচনার ‘সমূহ’ সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জানতে চান, ট্রাম্প সমর্থকদের জন্য এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্টের বার্তা কী?
জবাবে লেভিট বলেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্তের দক্ষতা রয়েছে। তিনি একবার বিশ্বকে নিরাপদ রেখেছেন, এবারও তা পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই কৌশলগত অস্পষ্টতা অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি করছে। ইসরায়েল চাইছে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিক, কিন্তু ওয়াশিংটন এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলেছে।
ইরান-ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যুক্ত হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে এর দাবানল ছড়িয়ে যেতে পারে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
জবাবে লেভিট বলেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। তাঁর অভিজ্ঞতা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্তের দক্ষতা রয়েছে। তিনি একবার বিশ্বকে নিরাপদ রেখেছেন, এবারও তা পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
























































